॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
বাংলাদেশ সরকার তৃণমূল পর্যায়ে জনগণের প্রয়োজনীয় সেবাসমুহ নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর মাধ্যমে সর্বমোট ১৩২টি সেবা চালু রেখেছে।
পার্বত্য জেলা রাঙামাটির ২২টি সরকারী অফিসের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর অনেকগুলো সেবা বাস্তবায়িত হচ্ছে, যার ফলশ্র“তিতে পাহাড়ের বিভিন্ন প্রান্তের। এসব বিভাগগুলোর মাধ্যমে প্রকৃত উপকারভোগীরা যাতে অর্ন্তভূক্ত হয় এবং তাদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করা হয় সেই লক্ষ্যে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদেরই অগ্রগামী ভূমিকা পালনের কোনো বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিশিষ্ট্যজনেরা। বুধবার রাঙামাটিতে অনুষ্টিত এক সেমিনারে এসব কথা উঠে আসে।
উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে সদর উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয় কর্তৃক আয়োজিত এই সেমিনারে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাঙামাটি সদর উপজেলার চেয়ারম্যান শহিদুজ্জামান মহসিন। সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাতেমা তুজ জোহরা উপমা। উক্ত সেমিনারে রাঙামাটির বিভিন্ন সরকারী অফিসের প্রতিনিধি, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মীসহ এনজিও প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে জানানো হয়, সরকার সামাজিত নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচীর আলোকে সারাদেশে সর্বমোট ১৩২টি কর্মসূচী চালু রেখেছে। কিন্তু তারমধ্যে অনেকগুলো কর্মসূচী রাঙামাটিতে এখনো পর্যন্ত চালু হচ্ছেনা এবং সরকারী সংশ্লিষ্ট্য অফিসগুলো এই কর্মসূচীর আওতায় কে কোনটি কিভাবে বাস্তবায়ন করছে সেই তথ্য তুলে ধরার লক্ষ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। সেমিনারে বক্তারা বলেন, সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর আওতায় তৃণমূল পর্যায় থেকে সেবাগ্রহীতা চিহ্নিত করে তাকে তুলে আনতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে ওয়ার্ড মেম্বাররা। তাদের অনেকেই অসুদপায় অবলম্বনের মাধ্যমে অনেক সময় কিছুটা তথ্য গোপনের আশ্রয় নিয়ে থাকে। এই ধরনের প্রবনতার ফলে প্রকৃত সেবাগ্রহীতারা সেবা প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকে। এমতাবস্থায় সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর কর্মসূচীগুলো বাস্তবায়নে সেবাগ্রহীতাদের তথ্য নিজস্ব উদ্যোগে যাচাই-বাছাই করাসহ স্থানীয় তৃণমুল পর্যায়ের জনপ্রতিনিধিদের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির কোনো বিকল্প নেই। তাই প্রতি দুই মাস অন্তর অন্তর হলেও একটি সভার মাধ্যমে সার্বিক অগ্রগতি তুলে ধরার উপর গুরুত্বারোপ করেছেন আলোচকরা।